যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে না ওঠা এবং ১৯৯৬ সাল থেকে অদ্যবধি ঈশ্বরদীতে শুধুমাত্র বিভাজনের কারনে বার বার পাবনা-৪ ( ঈশ্বরদী-আটঘড়িয়া) আসনে বিএনপি পরাজিত হচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ বিএনপিতে আর কোন বিভাজন দেখতে চাইনা এবং মহামূল্যবান এই আসনটিতে বি্েনপির বিজয় নিশ্চত করতে আগামীদিনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক জিয়াকেেএই আসনটি উপহার দেবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
রবিবার দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সদ্য কারা মুক্ত নেতা কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনটির আত্ম প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিষদের অন্যতম সমন্বয়ক ঈশ্বরদী পৌর সভার সাবেক কমিশনার আনোয়ার হোসেন জনি।
লিখিত বক্তব্যে সবার পক্ষে তিনি আরও বলেন, যারা দলের মধ্যে বিভাজন তৈরী করছেন তাদের সাথে বৈষম্য বিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ নেই। শুধু তাই নয়, উপজেলা এবং পৌর শাখার কোন কমিটি যদি তাদের সাথে আলোচনা ব্যতীত করার চেষ্টা করা হয় তাহলে রাজপথেই তার জবাব দেবে এই পরিষদ। তারা যে কোন মূল্যে পাবনা-৪ আসনে বিএনপিকে জয় লাভ করাতে আসনটি শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে উপহার দেবেন।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের আরেক সমন্বয়ক আলাউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, আমরা কারা মুক্ত হলেও বৈষম্য মুক্ত হতে পারি নি। কেননা আমরা দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কারা ভোগ করে আসলাম অথচ স্থানীয় শীর্ষ নেতারা আজ পর্যন্ত আমাদের কোন খবরটিও নিলো না। তারা শুধু নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত।
জেলা বিএনপির আহবায়ক এবং চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্র তাকে দ্বায়িত্ব দিয়েছে দলকে সংগঠিত করতে। কিন্তু আমরা তো বগুভাগে বিভাজিত হয়েই আছি। কারামুক্তির এতগুলোদিন অতিক্রম হলেও আমাদের সাথে বসার মত সময় তার হলোই না?
আরেক সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির দুলাল বলেন, এখনও যোগ্যতা অনুসারে নেতাদের পদ বন্টন হচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা বৈষম্য মূলক খবরা খবর আসছে যেটা দলের জন্য সুখকর নয়। আমরা বৈষম্য বিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ দলের মধ্যকার এসব বৈষম্য দুর করতে সচেষ্ট থাকব। এবং আমাদের অবশিষ্ট কারাবন্দি নেতারা কারামুক্ত হয়ে আসার পর তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আমাদের এই বৈষম্য বিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ নিয়ে তার ভবিষৎ পরিকল্পনা করব।
সংগঠনের ৩১ সদস্যের মধ্যে অন্যান্যরা হলেন, ফজলুর রহমান ফজলু, নেফাউর রহমান রাজু, আব্দুল জব্বার, ইসমাঈল হোসেন জুয়েল, তুহিন বিন সিদ্দিক, হাফিজুর রহমান মকুল, এনামুল হক, আজমল হোসেন ডাবলু, রবিউল হোসেন রবি, নূরূল ইসলাম আক্কেল, সেলিম আহম্মেদ, আমিনুল ইসলাম আমিন, আনিসুর রহমান সেকম, আজাদ হোসেন খোকন, আহম্মেদ ফয়সাল রিয়াজী রনো, সামসুল রহমান সিমু, আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন, এনাম হোসেন, এ কে এম ফিরোজুল ইসলাম পায়েল,শাহ আলম লিটন, বরকত আলী, আলমগীর হোসেন, জামেরুল ইসলাম, কামাল পারভেজ চাঁদ, মীর সামছুদ্দোহা তুহিন, এনামুল হক বাবু এবং মো: পলাশ।