দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন যেনো সাধারণ মানুষদের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে, এটা নতুন কিছু না বলে মনে করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষ। সব সময়ের পরিবর্তে এবার বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার পরেও সেন্টিকেট যেনো বাংলাদেশ ছাড়ছে না, বাজারে নেই কোনো সরকারি সুব্যবস্থা মনিটরিং। যে যেভাবে পারছে এভাবেই বিক্রি করে যাচ্ছে নিত্য পণ্যের জিনিস।
আগে বিভিন্ন প্রতিপক্ষ সংগঠন থেকে নিত্য পণ্যের দাম নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন ও বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটিদের উদ্দেশ্যে মনিটরিং এর সুব্যবস্থা করা বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে নিত্য পণ্যের দাম কমানোর জোর দাবি জানাতেন সরকারের কাছে। এখন আর দেখা যাচ্ছে না সেসব নিত্য পণ্যের দাম নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার মতো কোনো সুপরিকল্পনাকারীদের।
যারা অনিয়মের সাথে জড়িত থেকে দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তাদের জন্য নিত্যপূর্ণের দাম প্রতিদিন বাড়লেও কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ। তবে খেটে খাওয়া দিন মজুরি শ্রমিকরা বাজারে নিত্য পণ্যের জিনিস কেনাকাটা করতে গিয়ে এক একটা জিনিসের অতিরিক্ত দাম শুনে প্রয়োজনে কষ্ট করে কিনতে হচ্ছে অন্যথায় কেউ না কিনে চলে আসতে হচ্ছে।
জনসাধারণের সাথে কথা বলে আরোও জানা যায়, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন নিত্যপূর্ণের দাম লাগামছাড়া বাড়ানো হয়েছিলো, এতে কষ্ট করতে হয়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো দেখার মতো ছিলো না কেউ। দেশের দিনমজুরি শ্রমিকদের উপর ছিলো জুলুম, নির্যাতন ও অত্যাচার থেমেছিলো না কষ্টের জায়গা।
নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের আস্থার জায়গা ছিলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার পরেও দিনদিন যেনো জিনিসের দাম সাধারণ জনগণের লাগামের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় দিন আনা ব্যক্তিদের চলতে ভীষণ কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে, বাড়াতে হবে মনিটরিং পলিসি। ভাঙতে হবে বড় ছোট সব সেন্টিকেট, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারি দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত বাজারের উর্ধ্বগতি দাম দেখাশোনার জন্য কমিটির লোক প্রতিনিয়ত কাজ করতে হবে। তাহলে কিছুটা সম্ভব হয়ে উঠবে নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা।