পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সাবেক ভুমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালকে (৩৫) গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য এবং অস্ত্র আইন মামলায় ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলা দুটির তদন্তকারী ঈশ^রদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম ও এস আই নয়ন কুমার সাহা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ঈশ্বরদীর আলোবাগ মোড়ে এক বাসা থেকে তমালকে গ্রেফতার করে র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা ক্যাম্প সদস্যরা। এই সময় তমালের নিকট থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগজিন, ১০ পিস ইয়াবা ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার এক দফা কর্মসূচিতে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে সদ্য সাবেক এমপি গালিবুর রহমান শরীফের নেতৃত্বে তার ছোট ভাই ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। গুলি করে ৪জনকে আহত করে। ভাংচুর, লুটপাট করে। পিটিয়ে আরও অন্তত ১৫জনকে মারাক্তকভাবে আহত করে।
এই ঘটনায় ১৫ আগষ্ট ঈশ্বরদীর শৈলপাড়ার মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এমপি গালিবকে প্রধান ও শিরহান শরীফ তমালকে ২নং আসামী করে ৭১জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮০-৯০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, শিরহান শরীফ তমালের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যার চেষ্টা, গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। একই সঙ্গে র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়ার মামলা রয়েছে। তবে গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য এবং র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক মামলায় পৃথকভাবে ১০ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে।