পাবনার ঈশ্বরদীতে ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতিকে গুলিকরে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত একজন আসমীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১৭ই এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১২ ঘটিকার দিকে পাবনা ডিবি পুলিশ এবং ঈশ্বরদী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে পাবনা শহর থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম শহীদ।
গ্রেফতার কৃত আসামী হলেন, ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কারিগরপাড়া এলাকার ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক ড্রাইভার এর ছেলে মোঃ তানভীর ইসলাম সুমন ওরফে মাইকেল (৩২)।
ঈশ্বরদী থানা সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা ডিবি পুলিশ ও ঈশ্বরদী থানা পুলিশের একটি চৌকসদল উল্লেখিত তারিখে পাবনা শহরে অভিযান পরিচালনা করে আসমীকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে সে আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম শহীদ জানান,পাবনা ডিবি পুলিশ এবং ঈশ্বরদী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে দাশুড়িয়াতে বিএনপি নেতাকে গুলিকরে হত্যা চেষ্টা মামলার একজন আসমীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হলে সে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, ঈশ্বরদীস্থ দাশুড়িয়া মহাসড়কের পাশে থাকা অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’র (বিএনপি) দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মনোয়ারুল ইসলাম (৪৫) নামে এক বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
গত রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দাশুড়িয়া মোকাররম মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের সীসানা প্রাচীরের পূর্ব পাশের চায়ের দোকানে গুলির এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মনোয়ারুল ইসলাম দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতিও নওদাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কালাম প্রামানিকের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করা নিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রিপন প্রামানিকের বড় ভাই ও স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামানিকের সাথে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লার বাকবিতন্ডা হয়। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিপুল মোল্লা সহ তার অনুসারী কয়েকজন গুরুতর আহত হয় এবং তারই জের ধরে শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা রকু প্রামানিকের অফিস ভাঙ্গচুর করা হয়। এ নিয়ে দু’পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগও করেন।
সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা না যেতেই একই জেরে রবিবার দুপুরে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রিপন প্রামানিক ও তার বড় ভাই শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামানিকের নেতৃত্বে তাদের অনুসারীরা দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম কে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ মনোয়ারুলকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।