শেখ হাসিনা দেশে হরিলুটের রাজত্ব কায়েমকরে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। নিজের ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহেনাসহ দলীয় নেতাকমর্ীরা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে অর্থের পাহাড় গড়েছে।
দেশকে এক অস্থিরতার মধ্যে ফেলেছে। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। কণ্ঠরোধ করেছিল। বিভিন্ন দলের শত শত নেতাকর্মীদের গুম হত্যা করেছে। আয়না ঘর নামে নির্মম কুঠিরে বছরের পর বছর আটকিয়ে রেখেছিল। এসব কিছুরই বিচার করা হবে।
স্বৈরাচার খুনি শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে এখন দেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাই দেশে নতুন প্রজন্ম ছাত্র-জনতার মধ্যে হাসিনা ও আওয়ামীবিরোধী দূর্গো গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনগুলোতে পথে, পথে আওয়ামীলীগকে প্রতিরোধ করতে হবে।
আজ (বুধবার) বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদীতে স্বৈরাচার ও খুনি শেখ হাসিনার শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ সহযোগি সংগঠনের নেতাকমর্ীরা বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, ৩০ বছর পর তার পিতার হত্যাকারীদের বিচার করতে পারলে আমরা কেন ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলের শত শত নেতাকর্মীদের গুম হত্যা করায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার করতে পারবো না।
অবশ্যয় পারবো। শেখ হাসিনা যেখানেই পালিয়ে থাকুক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রতিটি হত্যার বিচার করা হবে। খুনি শেখ হাসিনাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। পাথর মেরে হত্যা করা হবে। একই সঙ্গে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের ফরমায়েশী রায়ে কারাবন্দি ঈশ্বরদী বিএনপির ৪৭ নেতাকমর্ীসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্ত করা হবে।
এর আগে বিকেলে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকমর্ী ও সমর্থকরা শহরের রেলগেটস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজারের ১ নং গেট মোড়ে পথ সভায় মিলিত হয়।
পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কেএম সাজেদুজ্জামান জিতুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপি’র আহবায়ক এস এম ফজলুর রহমান, সদস্য সচিব বিষ্টু সরকার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মাহমুদ হাসান সোনামণি , পাবনা জেলা ছাত্রদলের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. মেহেদী হাসান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ নান্টু, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বিটু , পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহামুদুল ইসলাম শাওন প্রমুখ।