দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামারের ২১ টি মহিষের বাচ্চা মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমেছে প্রানি সম্পদ অধিদপ্তর। তদন্ত কমিটির আহবায়ক খুলনা বিভাগের পরিচালক ডা. নুরুল্লাহ মোঃ আহসান ১৫ জুলাই রবিবার সকালে অপর দুই সদস্য খুলনা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম ও ফকিরহাট উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুর রহমান কে সাথে নিয়ে ফকিরহাট মহিষ প্রজনন খামারে আসেন।
দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামার
সেখানে কমিটি ২১ টি মহিষের বাচ্চা মৃত্যর বিষয়ে কাগজপত্র দেখেন পরে সরেজমিনে গিয়ে মাটি খুড়ে ১২ টি মহিষের বাচ্চার কংকলের অস্তিত্ব পেয়েছে কমিটি। আরো তদন্ত শেষে আগামী সাত কমর্ দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোট জমা দিবে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান।
তদন্ত কমিটির সদস্য ফকিরহাট উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন, প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক উৎপাদন ২১ টি মহিষ ষের বাচ্চা মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গত ১২ জুলাই গঠন করেন। এই কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, মহিষের খাবার ও দুধ উৎপাদন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ও রয়েছে। মহিষ গুলিকে নিন্মমানের খাবার খাওয়ানোর কারনে অপুষ্টিতে ভূগছে ৪৮২ টি বড় ছোট মহিষ।
খামারে গিয়ে দেখাগেছে নিন্মমানের খাবার খাওয়ানোর জন্য মহিষ গুলি রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ফলে যে মহিষ ৬/৭ কেজি দুধ দেওয়ার কথা থাকলেও সে মহিষ ২ কেজি দুধ দিচ্ছে। নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি জানান, মহিষ গুলিকে নিন্মমানের খাবার খাওয়ানোর জন্য দিনে দিনে মহিষ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে ফলে দুধ ও কম দিচ্ছে।
২৪২ টি বাচ্চা মহিষ দেখলে মনে হয় এদের কে কখন ও খাবার দেওয়া হয় না। আর ২৪০ টি বড় মহিষের একই অবস্থা। দেখলে মনে হয় মহিষ গুলিকে পুষ্টিকর খাবার দেয়া হয় না। রোগাক্রান্ত মহিষ। হাটতে গেলে পড়ে যাবে।
এদিকে একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র জানায়, ভারত থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৩৭ টি বাচ্চা ও ১৪৯ টি বড় মহিষ আনা হয় এই প্রজনন খামারের জন্য । ডিসেম্বর, জানুয়ারী ও ফেব্রæয়ারী এই তিন মাসে ২১ টি মহিষের বাচ্চা মরা দেখানো হয়।
তবে মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আহসান হাবীব প্রামানিক ২১ মৃত মহিষের বাচ্চার মৃত্যুর সংবাদ জানালেও কোথায় মাটি চাপা বা দাফন করা হয়েছে সে স্থান দেখাতে পারেনি। এথেকে এলাকাবাসী ধারনা করছে মহিষের বাচ্চাদের মৃত দেখিয়ে গোপনে সে গুলি বিক্রি করে দিতে পারে।
এলাকা বাসী আরো জানান, ৯৭ টি দুধালো গাভী মহিষ থেকে ৫৮২ কেজি দুধ পাওয়ার কথা সেখানে মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আহসান হাবীব প্রামানিক জানান, এখানে ২০০ কেজির মত দুধ উৎপাদান হচ্ছে।