রাজধানীর ব্যস্ততম নগরীর বিমানবন্দর এলাকায় । ২০১৬ সালে বিমানবাহিনীর ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি পথচারীদের চলাচলের জন্য ফ্লাই ওভারে চলন্ত সিঁড়ি নির্মাণের দায়িত্ব পায়।
ফুটওভার ব্রিজটি চালু হবার ২ বছরের মাথায় নষ্ট হয়ে যায় চলন্ত সিঁড়িটি। গত ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায় এটি।
গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধ ও যারা অসুস্থ তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে চালু করা হয় এই ফুটওভার ব্রিজের চলন্ত সিঁড়ি। এখান দিয়ে চলাচলকারী অসুস্থ ও বৃদ্ধরা জানান চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ থাকায় উপরে উঠতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
এ দিকে সিঁড়িটি বন্ধ থাকায় সিঁড়ি নিচে হকারা মালামালের গোডাউন বানিয়েছে।
সিঁড়ি দিয়ে চলাচলকারীরা জানান,এখানে বিমানবন্দর ও রেলস্টেশন থাকায় এই চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এটি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
ব্যাস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঢাকার বিমানবন্দরের এই চলন্ত সিঁড়ির দুই পাশের ইঞ্জিন বক্সের একপাশ পুলিশ বক্স ও অন্যপাশ এখন হকারদের মালামাল রাখার ঘর হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
রাস্তা পারাপারের সুবিধা জন্য রাজধানীতে করা কয়েকটি চলন্ত সিঁড়ি যুক্ত ফুটওভার ব্রিজের মধ্যে এই ব্রিজটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সিঁড়িটি দীর্ঘদিন অবহেলা আর অযত্নে পড়ে থাকলেও এ বিষয়ে নেই কারো মাথাব্যাথা। এখান দিয়ে চলাচলকারীরা অতি দ্রুত সিঁড়িটি মেরামতের দাবি জানান।