1. shangbadvumi@gmail.com : Shangbad vumi :
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরদীতে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি থেকে অবৈধভাবে জোর পূর্বক বালি উত্তোলনের অভিযোগ ঈশ্বরদীতে চাঁদার টাকা না পেয়ে বালি ব্যবসায়ীদের গাড়ি ভাংচুর ও মারধর আড়ামবাড়িয়ার অশান্ত পদ্মারচরে ৮ কৃষককে পিটিয়ে জখম-দুই গরু জবাই করে পিকনিক পুলিশের উপর জনগণের আস্থা ফেরাতে সর্বদা কাজ করেছি- খোলা চিঠিতে ওসি শহীদুল রাজশাহী রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ সাবইন্সপেক্টর নির্বাচিত ঈশ্বরদীর শরিফুজ্জামান ‘প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ’ খালেদা জিয়া দেশে ফেরায় ঈশ্বরদীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল ঈশ্বরদীতে আইন সহায়তা ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঈশ্বরদী শাখার মে দিবস উৎযাপন ঈশ্বরদীতে পরিষদে অবরুদ্ধের পর ৩ ইউপি সদস্যকে পুলিশে সোপর্দ

প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে বউকে তালাক-দেড়মাস পর যৌতুকের মামলা

সংবাদ ভূমি ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতে নাতে ধরে কয়েকশত মানুষের উপস্থিতিতে বিচার শালিস ও আদালতের মাধ্যমে স্ত্রীকে তালাক প্রদান করায় স্ত্রী মোছা. শ্রাবন্তী ইয়াসমিন যুথি ও তার মা মোছা. বিজলী বেগম কর্তৃক মিথ্যা মামলা দায়ের, প্রাণ নাশের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদানসহ হয়রানির প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার ( ১৯ মার্চ ) সকাল ১১ টায় উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর (কাঁঠালতলা মোড় বগা মিয়া সড়ক) এলাকায় এ মানববন্ধন  ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মো. সজল সরদার জানায়, সাহাপুর মহাদেবপুর এলাকার মো. খায়রুজ্জামান বাবু সরদারের ছেলে মো. সজল সরদারের সাথে চররুপপুর এলাকার মো. মোস্তফা আলীর মেয়ে শ্রাবন্তী ইয়াসমিন যুথির পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ২০১৩ সালের  ৫ই ডিসেম্বর।

বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী শ্রাবন্তী ইয়াসমিন যুথি মোবাইল ফোনে অন্য ছেলের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। পরকীয়া প্রেমের জন্য যুথী সর্বদা খারাপ আচরণ করতে থাকে। স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রথমে তাকে ব্যক্তিগত ও পরে পারিবারিকভাবেসহ নানাভাবে বোঝানো হয়। মানসম্মানের ভয়ে বিষয়টি গোপন রেখে স্ত্রীকে সংশোধনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমার স্ত্রী যুথি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। পরে তাকে নিয়ে তার মা বিজলী বেগমের পরামর্শে পাকশী এমএস কলোনিতে তাদের বাসায় উঠি। কাজের সুবাদে আমি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজে গেলে আমার স্ত্রী যুথি মোবাইল ফোনে তার পরকিয়া প্রেমিককে বাসায় ডেকে এনে অসামাজিক কার্যকলাপ করে। এতে আমার স্ত্রীর যুথির মা ( আমার শ্বাশুড়ি বিজলী বেগম) সহযোগিতা করে।

এ ব্যাপারে আমি কিছু বললেই আমার স্ত্রী ও তার মা আমার উপর নানাভাবে অত্যাচার করতো। নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করতো। এভাবে চলার পর আমাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু আমার স্ত্রীর পরকিয়া প্রেম চলতেই থাকে। অবশেষে আমার সন্তানের ভবিষত্যের কথা বিবেচনা করে আমি আমার পরিবারের পরামর্শে মহাদেবপুর নিজবাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে চলে আসি। কিন্তু দূঃখের বিষয় আমার বাড়িতে এসেও স্ত্রী যুথির পরকিয়া প্রেম থেকে থাকেনি। আমি পারমাণবিক প্রকল্পে চাকরীতে গেলেই আমার স্ত্রী তার পরকিয়া প্রেমিককে আমাদের বাড়িতে ডেকে এনে নিজের কাম খায়েস পরিপূর্ণ করতো।

তিনি আরও জানান, গত ১৪ জানুয়ারি/২০২৫ সালে রাতে আমি প্রকল্পে চাকরিতে গেলে আমার স্ত্রী যুথি তার পরকিয়া প্রেমিককে (সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে তার বাড়ি) রাতে আমার বাড়িতে ডেকে আনে। ওইদিন রাত আনুমানিক ১১: ৫৫ মিনিটের দিকে আমার স্ত্রী ও তার পরকিয়া প্রেমিককে আপত্তিকর অবস্থায় বাড়ির লোকজনসহ বাড়ির আশেপাশের লোকজন হাতেনাতে আটক করে।

ঘটনার দিন রাতেই স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মাও: ফরিদ আহমেদের সভাপতিত্বে আমার বাড়িতে বিচার শালিস বসে। সেখানে আমার স্ত্রীর বাবা মোস্তফা আলীসহ তার আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলো। শালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমার স্ত্রী তার বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। আমার কন্যা সন্তানের ভবিষতের কথা বিবেচনা করে আমার স্ত্রীকে সংশোধন হওয়া অনুরোধ করি। একই সঙ্গে আমার স্ত্রীর মাকেও তার মেয়েকে বোঝাতে অনুরোধ করি। কিন্তু আমার কোন অনুরোধই আমার স্ত্রী ও তার মা রাখেনি। উল্টো আমার স্ত্রী তার মায়ের যোগসাজছে পরকিয়া প্রেম চালিয়েই যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বললেই আমার স্ত্রী ও তার মা আমাকে নানাভাবে হয়রানি করার হুমকি ও ধামকিসহ ভয়ভীতি প্রদান শুরু করে। অবশেষে আমি আদালতের মাধ্যমে আমার স্ত্রীর দেন মোহরসহ ধর্মীয় ও আইনগত নিয়ম অনুসারে স্ত্রীর সকল পাওনা পরিশোধ করে স্ত্রী যুথিকে গত ২১ জানুয়ারি তালাক প্রদান করি।

এমতাবস্থায় আমার স্ত্রী শ্রাবন্তী ইয়াসমিন যুথি ও তার মা বিজলী বেগমের যোগ সাজছে আমার এবং আমার পরিবারের উপর মিথ্যা অভিযোগ এনে আদালতে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে পুলিশ দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করছে। তারা আমাকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদের নানা রকম হুমকি ধামকিসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা, আমাকে কিংবা আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি প্রদান করছে। আমি ও আমার ছোট ভাই রুপপুর প্রকল্পে চাকরী করি। দিন-রাতে চলাফেরা করি। প্রায়ই আমার স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি বিভিন্ন ধরণের লোকজন নিয়ে আমাদের গতিপথ রোধ করার চেষ্টা করছে। এই কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।

আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ সংবাদ ভূমি
Theme Customized BY LatestNews