আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিয়েছি এমন ঘোষণা দিয়ে রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান। তাছাড়া সেবামূলক কাজ করে এর‘ই মধ্যে দেশের মানুষের কাছে মানবিক হিরো বনে গেছেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভিন্ন ধর্মী কিছু কর্মসূচি দিয়েছেন, ধর্মভিত্তিক দল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম। রাজনৈতিক পদ পরিবর্তনের পর দলটির আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান সারাদেশ চষে বেড়াচ্ছেন।
আরও পড়ন
টানা ১৬ বছর আওয়ামী শাসন আমলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দলটি এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় রত। বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে, মানবিক দলের স্বীকৃতি পেয়েছে দলটি।
বন্যাত্মদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ত্রাণ নয় উপহার নিয়ে এসেছি, ডাক্তার শফিকুর রহমানের এমন ঘোষনার মাঝেও নতুনত্ব খুঁজে পেয়েছে দেশের মানুষ।
বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য নিয়েও কাজ শুরু করেছে জামায়াত, আলিয়া ও কওমিপন্থী আলেমদের বিভাজন দূর করতে উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। এই উদ্যোগের কারিগর খোদ জামায়াতের আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান।
ইতিমধ্যে তিনি সব আলেমদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। দলটির নেতাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে এখন’ই নির্বাচন চায় না জামায়াত। এ নিয়ে বিএনপির নেতাদের সাথে বড় মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে তাদের।
বিএনপি চাইছে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ এখন’ই ঘোষণা করা হোক কিন্তু জামায়াত তা চায় না। জামায়াত তাড়াহুড়া না করে, সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে চায়।কিন্তু কেনো?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ মাঠে নেই। নেতাকর্মীরা হয় পালিয়েছে, নয় আত্মগোপনে আবার কেউ কেউ আটক হয়েছেন।
তাই রাজনীতির ফাঁকা মাঠে একটি বড় শক্তি হিসেবে জামায়াত নিজেদের’কে জানান দিতে চাইছে। গত প্রায় দেড় যুগ ধরে দলটি ছিল কোন-ঠাসা, সারাদেশের সব দলীয় কার্যালয় ছিল তালাবদ্ধ তাই নির্বাচনের জন্য তাদের সময় দরকার। এজন্য ভোট নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই তাদের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জামায়াত আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান এ বিষয়টি পরিস্কার করে তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য তোরজোড় করছে এটাকে এই মূহুর্তে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি না।
এখন জাতির ক্রাইসিস চলছে, বিভিন্ন জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। এটিকে আমরা এ মুহূর্তে রাজনীতি হিসেবে দেখছি। আমরা মনে করি এ বিষয়গুলোর সমাধান না করে নির্বাচনের কথা বলা অযৌক্তিক তাই নির্বাচন নিয়ে এখন’ই ভাবছে না জামায়াত।