দলের দুর্দিনে যেসব নেতা কর্মীরা খেয়ে না খেয়ে এবং বিরোধী দলের নানা অত্যাচার অনাচার সহ্যকরে একাধিক গায়েবি মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে দলের হয়ে কাজ করেছেন তাদের ভুলে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ডাকাত ও খুনিদের পক্ষে সাফাই গাইছেন এবং ত্যাগী কর্মীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিকট মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ করলেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান।
শুক্রবার দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে দলীয় নেতাকর্মীদের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. মেহেদী হাসান।
মেহেদী আরও বলেন, গত ৬ আগষ্ট ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর জিগাতলা এলাকায় আমেরিকান প্রবাসী তানভীর হাসান সুমন ওরফে আমেরিকান সুমনের দুই গ্রুপের মধ্যে রেশারেশির জের ধরে আরিফ হোসেন সচিন বিশ্বাস (২৫) নামে এক যুবদলকর্মী হত্যার শিকার হন।
সেই ঘটনায় নিহতের পরিবারকে আমেরিকান সুমন প্রভাবিত করে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে হত্যা মামলায় সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাসেল পারভেজসহ স্বেচ্ছাসেবকদল ও যুবদলের বেশকিছু নেতাকর্মীকে আসামী করেছে।
এর প্রতিবাদে ১৫ আগষ্ট রাসেল পারভেজের এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি রূপপুর জিগাতলা মোড় থেকে কড়ইতলা মোড়ে যাওয়ার পথে আমেরিকান সুমনের নেতৃত্বে নবী ডাকাত, ডাকাত দাদা সজীব, সোহেল সরদার রুমন ওরফে টোকাই রুমন, রিগ্যান, পাকা সজিবসহ ১৫-২০ জন প্রতিবাদ মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় তারা মিলিছকে উদ্দেশ্য করে ১৫-২০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। পথচারীদের দুটি মোটর সাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। অটোরিক্সা ভাংচুর করে। এতে প্রায় ১৫-২০ জন আহত হয়। পরে এলাকাবাসী ধাওয়া করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার দিন কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে প্রতিটি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের আমন্ত্রণে যাওয়ার পথে বিষয়গুলো তিনি নেতাকর্মীদের নিকট থেকে শুনেছেন মাত্র।
অথচ পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছেন, আমি নাকি তার পক্ষের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করেছি। হাবিবুর রহমান হাবিবের এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানিয়েছেন মেহেদী।
সংবাদ সম্মেলনে পৌর বিএনপির আহবায়ক এসএম ফজলুর রহমান, সদস্য সচিব বিষ্টু সরকার, বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, আবু সাইদ লিটন, কাউন্সিলর আবু জায়েদ উজ্জল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এমএম মামুনুর রশিদ নান্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব মুঠোফোনে বলেন, আমার সঙ্গে কোন ডাকাত ও খুনি নেই। আমাকে শহরে দলীয় কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না। জেলা বিএনপির আহবায়ক হিসেবে বিষয়টি শুধু কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হয়েছে।