দেশব্যপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ডাকা এক দফা আন্দোলনে হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষণ মামলায় ঈশ্বরদীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মাসুদ রানা (৪৫) ওরফে জিএস রানাকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পৌর শহরের পিয়ারপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাসুদ রানা ওরফে জিএস রানাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম।
গ্রেফতার জিএস রানা শহরের মধ্য অরণকোলা এলাকার আকমল ডাক্তারের ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার এক দফা কর্মসূচিতে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে সাবেক এমপি গালিবুর রহমান শরীফের নেতৃত্বে তার ছোট ভাই ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। গুলি করে ৪ জনকে আহত করে। ভাংচুর, লুটপাট করে। পিটিয়ে আরও অন্তত ১৫ জনকে মারাক্তকভাবে আহত করে। এই ঘটনায় ১৫ আগষ্ট ঈশ্বরদীর শৈলপাড়ার মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এমপি গালিবকে প্রধান ও শিরহান শরীফ তমালকে ২নং আসামী করে ৭১জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮০-৯০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মাসুদ রানা এ মামলার ৪ নাম্বার আসামী।
ইতোপূর্বে এই মামলায় নামীয় ২ নং আসামি সাবেক মন্ত্রী পুত্র তমালকে পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসগ গ্রেফতার করেন র্যাব-১২ সিপিসি-২ পাবনা, ৭ নং আসামী কাউন্সিলর ইউসুফ প্রধান ১০নং আমামী সজিব শেখ এজাহারে নামীয় আসামী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এই মামলায় সাবেক মন্ত্রীপুত্র যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল, কাউন্সিলর ইউসুফ প্রধান,সজিব শেখ ও জিএস রা নামের চারজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পর থেকেই আওয়ামীলীগ নেতারা আত্মগোপনে রয়েছে। আর মামলা হওয়ার থেকে তারা এলাকা ছেড়ে পলাতক রয়েছে। মামলার সংশ্লিষ্ট আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।