1. shangbadvumi@gmail.com : Shangbad vumi :
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরদীতে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি থেকে অবৈধভাবে জোর পূর্বক বালি উত্তোলনের অভিযোগ ঈশ্বরদীতে চাঁদার টাকা না পেয়ে বালি ব্যবসায়ীদের গাড়ি ভাংচুর ও মারধর আড়ামবাড়িয়ার অশান্ত পদ্মারচরে ৮ কৃষককে পিটিয়ে জখম-দুই গরু জবাই করে পিকনিক পুলিশের উপর জনগণের আস্থা ফেরাতে সর্বদা কাজ করেছি- খোলা চিঠিতে ওসি শহীদুল রাজশাহী রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ সাবইন্সপেক্টর নির্বাচিত ঈশ্বরদীর শরিফুজ্জামান ‘প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ’ খালেদা জিয়া দেশে ফেরায় ঈশ্বরদীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল ঈশ্বরদীতে আইন সহায়তা ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঈশ্বরদী শাখার মে দিবস উৎযাপন ঈশ্বরদীতে পরিষদে অবরুদ্ধের পর ৩ ইউপি সদস্যকে পুলিশে সোপর্দ

কেন্দ্রীয় গোরস্থানের নাম নির্ধারণ নিয়ে প্রাণ সংশয়ে ঈশ্বরদীর ৪ গ্রামের মানুষ

খালেদ মাহমুদ সুজন, সম্পাদক সংবাদ ভূমি
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
দাদপুর গোরস্থান

পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি কেন্দ্রীয় গোরস্থানের নাম নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে করে ঐ গোরস্থান সংশ্লিষ্ট ৪ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ সংশয় রয়েছে।

উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাদপুর, শামিলপুর, খারজানি এবং পাকুড়ি এলাকার কেন্দ্রীয় গোরস্থান নিয়ে এ ঘটনা ঘটছে।

সরেজমিন এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে পৌঁনে ৪ বিঘা জমি নিয়ে খারজানি এলাকায় গোরস্থান প্রতিষ্ঠা করেন দাদপুর এলাকার কয়েকজন মুরুব্বি। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় আরও ৫ বিঘা জমিসহ মোট ৯ বিঘা জমি নিয়ে যাত্রা শুরু হয় দাদপুর কেন্দ্রীয় গোরস্থানের। পরবর্তীতে গোরস্থানের সৌন্দর‌্য বৃদ্ধি আর আর্থিক লাভের আশায় গোরস্থান চত্ত্বর জুড়ে লাগানো হয় ৪ শতাধিক মেহগনি গাছ। যে গাছ গুলো এখন কোটি টাকার সম্পদে পরিনত হয়েছে। মূলত এই গাছ বিক্রির মোটা অংকের টাকা হাত করতেই এই গন্ডগোলের সূত্রপাত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী।

খারজানি এলাকার মো: আফার আলী খা (৭২) বলেন, এই গোরস্থানের জমি খাস। আমরা আসপাশের ৪ এলাকার সবাই মিলে এই গোরস্থান প্রতিষ্ঠা করলেও দাদপুর এলাকার লোকজন এখানে আমাদের নাম রাখতে চাইনা। আমরা এর আগে এলাকাবাসীরা মিলে গোরস্থানের গেটে খারজানি দাদপুর কেন্দ্রীয় গোনস্থান নাম ফলক লাগিয়ে ছিলাম কিন্তু দাদপুর এলাকার সবাই অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে সেই নাম ফলক উপড়ে ফেলেছে।

জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) বলেন, গোরস্থান দখল করতে তারা গোরস্থানে এসে মিলাদ মাহফিল করে গেছে। এমন কি তারা গন্ডগোল করার জন্য মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়েও এসেছে। কিন্তু আমরা খারজানি এলাকার লোকজন কোন প্রকার মারামারি চাইনা।

হামিদ উদ্দিন (৭০) বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এই গোরস্থানের নাম করন নিয়ে কোর্টে মামলা চলছে। আমরা (খারজানি) ৩ টি রায় পেয়েছি। তবুও দাদপুর এলাকার লোকজন জোর পূর্বক এখানে আসে দখন নিতে। মারামারি করতে।

গোরস্থান সংলগ্ন বসবাসকারী কোহিনুর বেগম (৭৫) বলেন, এই গোরস্থানের দখল নিয়ে মাঝে মধ্যেই গন্ডগোল হয়। আমরা নিরীহ মানুষ তাই খুব বেশী খবর রাখতে যায়না। গন্ডগোল দেখলে আমরা দুরে পালিয়ে যায়।

দাদপুর এলাকার জয়নাল আবেদীন (৬৫) বলেন, এই গোরস্থান প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দাদপুর এলাকার লোকজন এটার পুরো দায়ভার বহন করে আসছে। অতীতেও খারজানি ও শামিলপুর এলাকার সন্ত্রাসীরা এই গোরস্থান দখলকে কেন্দ্র করে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকেও পিটিয়ে জখম করেছে। সেই দায়ে তারা ১৬ জন হাজত ও খেটেছে। এর পরও তাদের এই অপকর্ম থেমে নেই। তারা আবার নোংড়া নেশায় আশক্ত হয়ে গোরস্থান নিয়ে নানা প্রকার কোন্দল তৈরী করতে যাচ্ছে।

সাইদুল খাঁ বলেন, খারজানি এলাকার লোকজন আসলে অসুস্থ। তারা কোন কিছুর সুস্থ্য বিচার মেনে নিতে চান না। তাই তারা গন্ডগোল করতে চাই।

গোরস্থান কমিটির সভাপতি আফতার খা বলেন, অত্র গোরস্থানটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই আমরা (দাদপুর এলাকা বাসী) দেখভাল করে আসছি। মাঝে স্বার্থান্বেশী মহল তাদের ফাইদা লোটার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি করার জন্য নানা ঝামেলা তৈরী করে আসছে। আমরা এই অবস্থার অবসান চেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে ছিলাম। রায় পেয়েছি। এখন শুধু উন্নয়ন নিয়ে ভাবছি।

দাশুড়িয়া ইউপি সদস্য ( দাদপুর-খারজানি )  এমদাদুলহক বলেন, কেন্দ্রীয় গোরস্থানের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলমান বিরোধটি নিরশনের আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি উভয় পক্ষের নেতাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে খুব দ্রুতই চলমান এই বিবাদটি নিরসন করতে আমরা সক্ষম হব।

আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ সংবাদ ভূমি
Theme Customized BY LatestNews