স্বৈরাচার শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার পাতানো মামলায় ফাঁসির রায় থেকে খালাস পেয়েই নেতা কর্মীদের প্রতিহিংসার রাজনীতি বর্জনের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ঈশ্বরদী পৌর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১২ ঘটিকায় পাবনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তির পর দুপুর ৩ ঘটিকায় ঈশ্বরদী পৌর ও উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা কোন দলাদলি চাইনা। আমরা শান্তি পূর্ন ভাবে বসবাস করতে চাই। আমাদের আদর্শ আর আওয়ামীলীগের আদর্শ একনয়। আমরা আমাদের আদর্শ নিয়ে তাদের কাছে যাব তারা ভুল স্বীকার করে সঠিক পথে আসলে সামাজিক এই মিলন স্রোতে গা ভাসাবে। আর যদি না আসে তাহলে তারা অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হবে। তবুও মব জাষ্টিস্ট আপনারা ঈশ্বরদীতে চর্চা করবেন না। আইন আছে। দেশে বিচার আছে। আইন তাদের বিচার করবে।
এসময় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে জাকারিয়া পিন্টু আরও বলেন, পাঁচ তারিখ দুপুর ২ টা পর্যন্ত যারা শিক্ষার্থী ও নেতা কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছেন তাদের কে যারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন তাদের তালিকা চাই। সেই সাথে ৩১ দফা কবর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য নেতা কর্মীদের উদাত্ত আহবান জানান।
ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সুপ্রীম কোটের্র আইনজীবী জামিল আখতার এলাহীসহ পাবনা জেলা ও ঈশ্বরদী উপজেলার নেতা কর্মীরা।
এর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ঈশ্বরদী পৌর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোস্তফা নূরে আলম শ্যামল এবং পৌর বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল কে পাবনা জেলা কারা ফটক থেকে রিসিভ করে পাবনা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের পক্ষ থেকে তাদের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে ফুলেল সংবর্ধনা জানান। এর পর হাজার হাজার নেতা কর্মীদের বহর তাদের নিয়ে ঈশ্বরদী শহরের প্রাণকেন্দ্র রেলওয়ে গেট থেকে ফুলের গালিচা বিছানো পথে কর্মীদের একটি আনন্দ মিছিলের মধ্যদিয়ে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংবর্ধনা স্থলে হাজির হয়।