ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে গত ২৯ আগষ্ট গুলি ছোড়া সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে তাদের দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী শাস্তির দাবীতে ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ ও উপজেলা প্রসাশন (ইউএনও) বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছেন উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১লা সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ঈশ্বরদী শহরের প্রাণকেন্দ্র রেলগেট গোলচত্ত্বর এলাকায় সড়কের দুধারে সাড়িবদ্ধহয়ে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচী করেন। এ কর্মসূচীতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ঘটনার দিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ কে মাদক মুক্ত করাসহ কয়েকটি বিষয়নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে তাদের শান্তিপূর্ণ আলোচনা শেষে তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করার উদ্দেশ্যে গেটের দিকে এগোতে থাকেন।
বিক্ষোভ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক লিপি প্রদান করছে শিক্ষার্থীরা।
অপর দিকে কলেজে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের মূলহোতা বিএনপি চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সদস্য এবং পাবনা জেলা বিএনপি,র আহবায়ক মো: হাবিবুর রহমান হাবিবের আর্শিবাদ পুষ্ট কর্মী ও আওয়ামীলীগের দালাল ধানের শীষের সাবেক মেয়র প্রার্থী সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম নয়ন, পার্থিব, জিয়া, যুবলীগের চিন্হিত সন্ত্রাসী রতনসহ তাদের একটি দল আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমিরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেই হামলা প্রতিহত করতে চেষ্টা করলে তারা গুলি বর্ষণ করেন।
সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে মোট ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়েন উল্লেখ করে বিক্ষোভ কারীরা আরও বলেন, তাদের অতর্কিত গুলি বর্ষনে আমাদের কেউ হতাহত না হলেও তৎক্ষনাৎ আতঙ্কিত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গত জুলাই এবং আগষ্টে শহীদ শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে অর্র্জিত এই স্বাধীনতাকে কোন ভাবেই কোন সন্ত্রাসীদের কাছে ন্যাস্ত হতে দেব না।
সেই লক্ষে শিক্ষার্থীরা সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ এবং ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবির কুমার দাসের হাতে বিক্ষোভ শেষে স্মারক লিপি প্রদান করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, মাহমুদুল ইসলাম শাওন, আহসান হাবিব আকাশ, ইকবাল হাসান তামিম, কে এম মহিবুর রহমান প্রমূখ।