পাবনার ঈশ্বরদীতে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর সোয়া ১ ঘটিকায় উপজেলার পৌর শহরের রহিমপুর এলাকার একটি বাড়ীর চতুর্থ তলার একটি শৌচাগার থেকে তার অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করেছেন।
নিহত সিরাজ ফকির (৬৫) উপজেলার কৈকুন্ডা গ্রামের মৃত জলিল ফকির এর ছেলে এবং ঈশ্বরদীস্থ মেগা প্রকল্প রুপপুর পারমানবিক প্রকল্পে কাজ করতেন।
বাড়ীর মালিক বুলবুল হোসেন সংবাদ ভূমিকে বলেন, যেই ফ্লোর থেকে বৃদ্ধার মৃতদেহটি পুলিশ উদ্ধার করেছে সেখানে ভাড়াটিয়া হিসেবে শাজাহান (২৮) নামের ভাড়াটিয়া তার পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। শাজাহান উপজেলার বড়ইচারা গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে। আজ সকাল ৮ টার দিকে আমার নাকে পঁচা গন্ধ পেয়ে চারতলায় যায়।
সেখানে সৌচাগারের মধ্যে হাত-পা বাধা অবস্থায় অর্ধগলিত মৃতদেহটি দেখে ভয়পেয়ে যায় এবং দ্রুত থানা পুলিশকে অবহিত করি। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ দুপুর সোয়া ১ টার দিকে অর্ধগলিত অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মৃতদেহটি উদ্ধারের সময় ভাড়াটিয়া মো. শাজাহান ও তার স্ত্রীকে বাসায় পাওয়া যায়নি।
নিহতের পরিবার এবং ঈশ্বরদী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিহত মো: সিরাজ ফকির চলতি মাসের ২৪ তারিখ তার কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে সকাল ৮ ঘটিকার দিকে নিখোঁজ হন। তার নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ছেলে বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি ডিজি (সাধারণ ডায়েরী) করেন। অবশেষে নিখোঁজের ৭ দিন পর তার অর্ধগলিত মৃতদেহটি উদ্ধার করেন পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মনিরুল ইসলাম সংবাদ ভূমিকে বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে আসামীদের আটকের চেষ্টা চলমান।