ঈশ্বরদীতে নিজ শয়ন কক্ষে বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চর রুপপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেরিন খাতুন (২০) ঐ এলাকার মো: আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী। নিহত জেরিনের ১ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসী এবং নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ইস্তা এলাকার মোঃ ডাবলুর তৃতীয় কন্যা জেরিন এবং চররুপপুর এলাকার মো: আজাদ এর ছেলে আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাহ এবং জেরিনের প্রেমের সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যেটা মেনে নিতে বাধ্য হয় উভয়ের পরিবার। তারই ধারাবাহিকতায় গত দুই বছর আগে দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকেই জেরিনের দুই ননদ আয়শা ও বর্ণা উভয়ই জেরিনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। ইতোমধ্যে ননদ এবং স্বামী মিলে কয়েকবার জেরিনকে মারধোর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়েও দেন । এ নিয়ে একাধিক শালিস ও হয়েছে শেষ শালিস শেষে গত প্রায় ১৫ দিন আগে বাবার বাড়ি থেকে জেরিন কে নিয়ে যান শ্বশুর বাড়ির লোকজন। অঃতপর আজ দুপুর দুইটায় নিজ শয়ন কক্ষের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় জেরিনের মরদেহ ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তখন তারা চিৎকার করে সবাইকে জড়ো করে জেরিনের ঝুলন্ত দেহটি নামান। এসময় জেরিনের শ্বশুরবাড়ীর কউকেই বাড়ীতে পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রতিবেশীরা। এরপর তারা থানা পুলিশকে খবর দেন।
মৃতের দুলাভাই মো: শামীন জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা বিষয়ে শ্বরশুর বাড়ীর লোকজন জেরিনের উপর শারিরিক অত্যাচার করত। এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার শাসিলও করা হয়েছে। গত ১৫ দিন আগেও শালিসের মাধ্যমে জেরিনকে পাঠানো হয়েছিলো। আজ তার মৃতদেহ আমাদের সামনে। তবে জেরিন কে তারা হত্যা করেছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, মৃতদেহটির প্রথিমিক সুরতহাল পূর্বক উদ্ধার করা হয়েছে । ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।