পাবনার ঈশ্বরদীতে নিজ শয়ন কক্ষের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে মারিয়া খাতুন শাম্মি (১৩) নামের এক কিশোরী আত্মহত্যা এবং বন্ধুর সাথে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে জিহাদ হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী বটতলা এলাকায় কিশোরী এবং দুপুরে কোলেরকান্দি বটতলা এলাকায় কিশোর মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুর বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক মোঃ মনিরুল ইসলাম।
নিহত মারিয়া খাতুন উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী বটতলা এলাকার মো: হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং ভাড়ইমারী রিয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী ও জিহাদ মিরকামারী পূর্বপাড়া গ্রামের বাবু ইসলামের ছেলে এবং ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতনের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।
ভুক্তভোগী পরিবার, ঈশ্বরদী থানা এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে প্রেমিক মো: নাঈম ইসলামের হাত ধরে তার বাড়ীতে যান কিশোরী মারিয়া খাতুন শাম্মি। রাতে উভয় পরিবারের শালিসির মাধ্যমে শাম্মিকে নাঈমের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান তার স্বজনরা। এতেই অভিমান করে রাতে তার শয়ন কক্ষের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে স্বজনরা তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
অপর দিকে এলাকাবাসী এবং ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানাযায়, সকাল ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে কিশোর জিহাদ হোসেন তার বন্ধুর সাথে গোসল করতে পাশ্ববর্তী কোলের কান্দি বটতলা কোলে ( স্থানীয় খাল) যায়। সেখানে পারথেকে একটু দুরে কলার ভোর (কলা গাছের ভেলা) ধরার উদ্দেশ্যে পানিতে ঝাঁপ দিলে সে সাঁতার না জানায় গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। সে সময় তার সাথে থাকা বন্ধুর আত্ম চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে নিকটবর্তী মর্ডান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন রুপুপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সদস্যরা খবর পেয়ে কিশোর জিহাদকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
মর্ডান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন রুপুপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফায়ার ফাইটার মামুনুর রশিদ জানান, পানিতে ডোবার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং সেখান থেকে কিশোর জিহাদকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, কিশোরী মারিয়া খাতুন শাম্মি আত্মহত্যা ও কিশোর জিহাদের মৃত্যুতে পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।